আজ দুপুরে দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় তা বোঝা যাচ্ছিল।
দলের সদস্য মেহেদী হাসান মিরাজও তা–ই বললেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিরাজ জানান, দলের কাছে টুর্নামেন্ট ফেবারিট ভারতকে হারানোর গুরুত্ব কতটা, শেষ ম্যাচটা জেতায় দলের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস যোগ করবে। ভারত এই টুর্নামেন্টে খুব ভালো খেলছে।
মিরাজ মনে করেন, এই আত্মবিশ্বাস আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপেও কাজে লাগবে, ম্যাচটা এমন ছিল...আমরা জিতলেও এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে আমাদের মধ্যে এই বিষয়টা কাজ করেছে, যদি ভারতের সঙ্গে জিততে পারি, তাহলে বিশ্বকাপের যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসটা ভালো থাকবে। বিশ্বকাপ বড় ইভেন্ট, খেলাও ভারতে। সেখানে যাওয়ার আগে দলের স্পিরিটটা বেড়ে যাবে। সেটাই হয়েছে। দলের খেলোয়াড়েরা খুব ভালো খেলেছে।
পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী ছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে মিরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই দুটি জয়। আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে।’ এর সঙ্গে যোগ করেছেন তরুণদের পারফরম্যান্সের বিষয়টি, যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে, তরুণেরা যেভাবে খেলেছে, যেমন সাকিব অভিষেকে ভালো করেছে, হৃদয় সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ভালো জুটি করেছে। এই ম্যাচে লোয়ার অর্ডার থেকেও রান এসেছে। এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক।
তবে চোট–আঘাতের সমস্যা না থাকলে ফলাফলটা আরও ভালো হতে পারত, মিরাজ সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আমরা চেষ্টা করব যারা চোটে পড়েছে, তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। তামিম ভাই দলের সঙ্গে ছিলেন না চোটের কারণে। শান্ত খেলার ভেতর চোটে পড়েছে। সে কিন্তু দুটি ম্যাচ খেলেছে, দুটিতেই বড় ইনিংস খেলেছে। লিটন ভাই অসুস্থ ছিলেন। মুশফিক ভাইকে ব্যক্তিগত কারণে খেলার মাঝেই চলে আসতে হয়েছে। সব মিলিয়ে যদি সবাই সুস্থ থাকত, তাহলে খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট হতো, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ আশাই করেছি। সব মিলিয়ে মনে করি, বিশ্বকাপের আগে আমরা সবাই সুস্থ হয়ে, মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় থেকে বিশ্বকাপে যেতে চাই।
চোটের কারণেই এবারের এশিয়া কাপে মিরাজকে ব্যাটিং অর্ডারে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। নিজের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে মিরাজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এবার এশিয়া কাপে আমাকে বিভিন্ন রোল দেওয়া হয়েছে। এটা মূলত দলের সমন্বয়ের জন্যই হয়েছে। আমাদের ওপেনাররা যদি শুরু থেকে সুস্থ থাকত, তাহলে কিন্তু আমি ওপেন করতাম না। যারা ওপেনার ছিল, তারাই করত। এক দিন খুব ভালো হয়েছে। পরে ভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাঝখানে খেলেছি, মুশফিক ভাই ছিলেন না। তবে বিশ্বকাপের আগে আশা করি, সবাই খুব দ্রুত সবকিছু পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে।
অর্থসংবাদ/এমআই