চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে সরকার বৈদেশিক অর্থছাড় পেয়েছে ৪০৫ মিলিয়ন ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড় মিলেছিল ৪৮৮ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক অর্থছাড় কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। তবে অর্থছাড় কমলেও সরকারের ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৩৪ শতাংশের বেশি।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে সরকারি ঋণের সর্বশেষ চিত্র প্রকাশ করা হয়। যেখানে অর্থছাড় হ্রাসের বিষয়টি উঠে এসেছে। এর আগে এ বছরের মার্চ মাস থেকে ওয়েবসাইটে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে মাসিক আপডেট প্রকাশ বন্ধ রেখেছিল ইআরডি।
ইআরডির তথ্য মতে, জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ২৫১ মিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে জাপান। ৭০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এডিবি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক থেকে এসেছে ৫৭ মিলিয়ন ডলার। তবে চীন এবং রাশিয়া থেকে কোনো অর্থছাড় কিংবা প্রতিশ্রুতি মেলেনি। যদিও ভারত থেকে ছাড় হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্থছাড় কমলেও সরকারের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। এ বছরের জুলাই মাসে সরকার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ২৫৩ মিলিয়ন ডলার। যেখানে সুদের পরিমাণ ছিল ১০৬ মিলিয়ন ডলার এবং আসল ছিল ১৪৬ মিলিয়ন ডলার। যদিও গত বছর একই সময়ে সরকারের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৭৯ মিলিয়ন ডলার। টাকার অংকে এ বছর পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। গত বছর এ পরিমাণ ছিল একহাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে নতুন কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। যদিও ৫ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প অনুদানের অঙ্গীকার পাওয়া গেছে। ৩ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা এবং জাপান। আর জাতিসংঘ থেকে ২ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের অনুদানের প্রতিশ্রুতি এসেছে। এ সময়ে এডিবি, বিশ্বব্যাংক এবং ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকেও কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি আসেনি।
অর্থসংবাদ/এসএম