ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যরা লেখক ফারুক মঈনউদ্দীনের ছোট গল্পের সংকলন ‘সেরা দশ গল্প’নিয়ে আলোচনা করেন। লেখক ফারুক মঈনউদ্দীন নিজেও এই জ্ঞানগর্ভ সাহিত্যসভায় উপস্থিত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা মঈনউদ্দীনের অনন্য লেখার শৈলী, স্বতন্ত্র শব্দচয়ন, গল্পের গঠন, প্রেক্ষাপট, আকর্ষণীয় চরিত্রায়ন এবং তাঁর গল্পগুলোতে প্রচলিত গভীর বিষয়গুলি নিয়ে উৎসাহের সাথে আলোচনা করেন। তাঁর লেখার বিশ্লেষণ তাঁর সাহিত্যিক অবদানের গভীরতা সম্পর্কে একটি বহুমুখী অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। গত ২১ সেপ্টেম্বর সাহিত্য আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় লেখক ফারুক মঈনউদ্দীনও তাঁর লেখক হয়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে তাঁর লেখার
বিবর্তন, তিনি যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং উপলদ্ধির মুহুর্তগুলি যা তাঁর লেখায় প্রভাব ফেলেছে, সেসব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
রিডিং ক্যাফের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফারুক মঈনউদ্দীন বলেন, ব্যাংকিং পেশাজীবীরা তাদের ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যেও এ ধরনের প্রাণবন্ত ও উদ্যমী সাহিত্য আলোচনার করছেন, তা জেনে আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত। এটি সাহিত্যের প্রতি তাদের আবেগ এবং আধ্যাত্মিক শক্তির প্রমাণ দেয়।
অধিবেশনটি একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে শেষ হয়। সেখানে সদস্যরা লেখকের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পান। তারা প্রতিটি ছোট গল্পের নেপথ্যের গল্প ও সৃজনশীল প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। সাহিত্যে মনোনিবেশ এবং তা উদযাপন করার নিরন্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিবিএল রিডিং ক্যাফে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের পরবর্তী পাঠ্য হবে ‘জীবনানন্দ দাসের ১০০টি কবিতার বইটি।
অর্থসংবাদ/এসএম