চীনে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে রাশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি রেকর্ড বেড়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি এসেছে ৬০ শতাংশ। চীনের শুল্ক বিভাগ চলতি সপ্তাহে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আরটি।
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত রাশিয়া চীনে ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি সরবরাহ করে। এর মধ্য দিয়ে দেশটির তৃতীয় শীর্ষ সরবরাহকারী দেশে পরিণত হয় রাশিয়া। চীনে এলএনজি রফতানির তালিকায় প্রথম অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় কাতার।
শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, অর্থ মূল্যের দিক থেকে রফতানি ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ আট মাসে ৩৫৩ কোটি ডলারের এলএনজি রফতানি করা হয়।
শুধু আগস্টেই রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারের এলএনজি চীনে রফতানি করা হয়। অর্থ মূল্যের দিক থেকে রফতানি ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে আট মাসে অস্ট্রেলিয়া চীনে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে। রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৯৪৪ কোটি ডলার। কাতার দেশটিতে ৬৮১ কোটি ডলারের ১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর এলএনজির রফতানি গন্তব্যে বড় পরিবর্তন আনে রাশিয়া। আগে দেশটি উৎপাদন এলএনজির সিংহভাগ বিক্রি করত ইউরোপের দেশগুলোয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এশিয়াকে বিকল্প বাজার হিসেবে বেছে নিয়েছে দেশটি। এ অঞ্চলে চীন ও ভারতে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হচ্ছে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই রাশিয়ার এলএনজি রফতানি অব্যাহত বাড়ছে। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোয় রুশ এলএনজির ব্যাপক চাহিদা রফতানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী নিকোলাই সালগিনভ সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস রফতানির পরিবর্তে এলএনজি রফতানি অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর।’
এলএনজি রফতানিতে এরই মধ্যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলে জানান সালগিনভ। তিনি বলেন, ‘আমরা রফতানির মাত্র কয়েক শতাংশ নিয়ে কথা বলছি। তবে বিশ্বজুড়েই রুশ এলএনজির ক্রেতা রয়েছে। আমাদের নতুন অংশীদার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শুধু নয়, বরং ইউরোপের ব্যবহারকারীদের কাছেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রুশ এলএনজির।’
জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক এলএনজি উৎপাদন ১০ কোটি টনে উন্নীত করতে আমরা একটি প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। আরেকটি প্রকল্প নিয়ে আমরা আশাবাদী। এটির অধীনে প্রথম উৎপাদন লাইন স্থাপনের কারণে চলছে। আগামী বছরের মধ্যে লাইনটি ৬৮ লাখ টন পূর্ণ সক্ষমতায় পৌঁছবে। আমরা মারমানস্কে একটি নতুন এলএনজি প্লান্ট স্থাপনের বিষয়েও আলাপ আলোচনা করছি। এতে তিনটি লিকুইফ্যাকশন লাইন থাকবে, যেগুলোর প্রতিটির সক্ষমতা হবে ৬৮ লাখ টন।’
অর্থসংবাদ/এসএম