অর্থমন্ত্রী জানান, ২৫টি ব্যাংকের পরিচালক নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। নিজ ব্যাংক ছাড়া অন্য ৫৫টি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা। ব্যাংক পরিচালকদের কাছে অন্য ব্যাংকগুলোর পাওনার পরিমাণ সেসব ব্যাংকের মোট ঋণের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ। আর নিজ ব্যাংক থেকে তাদের নেয়া ঋণ ওই ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে, নিজ ব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে এবি ব্যাংকের পরিচালকদের। তাদের কাছে ব্যাংকটির ঋণের বর্তমান স্থিতি ৯০৭ কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এর পরই রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। নিজ পরিচালকদের কাছে এ ব্যাংকের পাওনা ৩৬২ কোটি ৫০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে ব্যাংকটির কোনো পাওনা না থাকলেও অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে সবচেয়ে বেশি পাওনা রয়েছে এ ব্যাংকের। অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে ইসলামী ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ১৯ হাজার ১৭৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে নিজ ব্যাংকের কোনো পাওনা নেই। কিন্তু অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে ব্যাংকটির পাওনা ১০ হাজার ৫১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, যা ব্যাংকের মোট পাওনার ২৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে পাবে ১০ হাজার ১২৬ কোটি ৭২ লাখ ৫ হাজার টাকা। এটি জনতা ব্যাংকের বর্তমান ঋণ স্থিতির ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত পূবালী ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির এক-চতুর্থাংশই (২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ) অন্যান্য বাংকের পরিচালকদের কাছে। ব্যাংকটির বর্তমানে ঋণ স্থিতি রয়েছে ২৬ হাজার ৪১১ কোটি ৬৭ লাখ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে ৯ হাজার ৭৩৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।