সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের নবম স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, সৌরশক্তিকে সারা বিশ্বেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশেও সৌরশক্তির বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা প্রায় এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট। যার মধ্যে সোলার পার্ক থেকে ৪৬১ মেগাওয়াট এবং সোলার রুফটপ থেকে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এক হাজার ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক নির্মাণাধীন। এছাড়া নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্পগুলোর কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। সঠিক নীতি ও প্রবিধান দ্বারা সৌরশক্তিতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা গেলে সৌর প্রকল্পগুলোর সম্প্রসারণ দ্রুত সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সৌরশক্তি বিকাশে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সকে (আইএসএ) উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রবর্তন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে। দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি ও সদস্যদের চাহিদা বিবেচনা করে কর্মসূচি গ্রহণ করলে আইএসএ সৌর বিদ্যুৎ প্রসারে কার্যকরী অবদান রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতের বিদ্যুৎ এবং নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আর কে সিং। এতে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন- ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইএসএর মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা।
অর্থসংবাদ/এমআই