জুনের শেষ নাগাদ ভারতীয় জিডিপিতে বৈদেশিক ঋণের অনুপাত কমে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এ সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার। এ ঋণ মার্চে থাকা ঋণের তুলনায় ৯৬০ কোটি ডলার বেশি।
জুনের শেষ নাগাদ ভারতীয় বৈদেশিক ঋণের বড় অংশের দখলে রয়েছে ইউএস ডলার। ঋণের ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশই নেয়া হয়েছে ডলারের ভিত্তিতে। ভারতীয় রুপিতে ঋণের পরিমাণ ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ, ইয়েনে ৫ দশমিক ৭ ও ইউরোয় ৩ শতাংশ। মার্চের শেষ নাগাদও ঋণের বড় অংশে ছিল ইউএস ডলার। সে সময় ঋণের ৫২ দশমিক ১ শতাংশ নেয়া হয়েছে ডলারের ভিত্তিতে। বাকি অংশের মধ্যে ভারতীয় রুপির পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ, জাপানি ইয়েন ৫ দশমিক ৮, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে নেয়া ঋণের পরিমাণ ৪ দশমিক ৪ ও ইউরো ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
ভারতের চলতি হিসাব ঘাটতি (সিএডি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কমে ৯২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সিএডি ছিল ১ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। তবে ঘাটতি পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় বেশি ছিল।
বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার কারণে বেড়েছে প্রান্তিকওয়ারি সিএডির পরিমাণ। পরিষেবা খাতের পাশাপাশি বেসরকারি পরিবহন খাতও ছিল তুলনামূলকভাবে মন্থর।
পরিষেবা খাতের সংকোচনের প্রধান কারণ ছিল কম্পিউটার রফতানি কমে যাওয়া। ব্যবসা ও পর্যটন খাত সংকুচিত হওয়া। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পর্যটন ও ব্যবসায়িক পরিষেবা বেশি ছিল। সার্বিকভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ কমে ৫১০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর একই সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ১ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার।
রিজার্ভে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন প্রবাসী ভারতীরা। তার পরই রয়েছে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ, ঋণ ও স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্য ক্রেডিট। ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে বৈদেশিক ঋণসংক্রান্ত নীতিমালা বেসরকারি খাতকে বৈদেশিক ঋণ পেতে সাহায্য করেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই