বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ঋণ কম দেখাতে পুনঃতফসিলের নীতি উদার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন চাইলে নিজেরাই যেকোনো ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারছে। নীতি ছাড়ের এ সুযোগে ব্যাংকগুলোও ঋণ পুনঃতফসিলের রেকর্ডও গড়েছে। শুধু ২০২২ সালেই ব্যাংকগুলোর পুনঃতফসিলকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। গণহারে ঋণ পুনঃতফসিল অব্যাহত রয়েছে চলতি বছরেও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন শেষে দেশে ব্যাংক খাতে ঋণ ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। ওই সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশই এখন খেলাপি, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের তিনগুণের বেশি। কারণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ ছয় মাসে খেলাপি বেড়েছে ৩৫ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। যদিও এক বছরের ব্যবধানে তা কিছুটা কম বেড়েছে। কারণ সাধারণত ডিসেম্বরে প্রভিশন ঘাটতি কমাতে ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখায়।
২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই