গতকাল রোববার এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
অক্টোবর ও নভেম্বর ‘ঘূর্ণিঝড়প্রবণ’ মাস হিসেবে পরিচিত। দেশে সাধারণত মৌসুমি বায়ু আসার আগে এবং চলে যাওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় হয়। মৌসুমি বায়ু আসার আগে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়। আবার চলে যাওয়ার পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৮৯১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৬২০টি ঘূর্ণিঝড় ও অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। আর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে ৯৪১টি। ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অক্টোবর মাসে হয়েছে ২৫৫টি, নভেম্বরে ২১৯ ও ডিসেম্বরে ১০৫টি। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অক্টোবরে ৪২টি, নভেম্বরে ৭৪ ও ডিসেম্বরে ২৮টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার খবর জানবেন যেভাবে
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৮৯১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অক্টোবর মাসে সাগরে এ পর্যন্ত নিম্নচাপ হয়েছে ১২৯টি, নভেম্বরে ৭১ ও ডিসেম্বরে ৪৫টি।
সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি ও তাপ
আবহাওয়া অফিসের এ মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে প্রতি সেপ্টেম্বর মাসে গড়ে বৃষ্টি হয় ৩২৬ মিলিমিটার। গত সেপ্টেম্বরে হয়েছে ৩০৯ মিলিমিটার, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে ১৫ শতাংশের কম বা বেশি না হলে সেটাকে স্বাভাবিক বলেই বিবেচনা করা হয়।
সেপ্টেম্বরে গড়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এই মাসে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ছিল।
অক্টোবর কেমন যাবে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এই মাসে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টিরও আশঙ্কা আছে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে চার দিন মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা বজ্রঝড় হতে পারে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়েই মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বের পার্বত্য এলাকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীর ধীরে কমে আসতে পারে এ মাসে।
অর্থসংবাদ/এমআই