এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে দু’বার একে অপরকে মোকবিলা করেছিল দেশ দুটি। যেখানে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে। ২০১৫ আসরে আফগানদের টার্গেট বাংলাদেশ জয় পায় ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে। পরের বিশ্বকাপেও টাইগারদের জয়টা ছোট ছিল না। সেবার মোহাম্মদ নবীরা হেরেছেন ৬২ রানে। অর্থাৎ বিশ্বকাপ মঞ্চে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি দেখায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
সামগ্রিক পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে দেখা যায়, ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৫ বার। এর মধ্যে ৯টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, ৬টিতে জয় আফগানদের। শেষ দশ ম্যাচের পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের হয়ে কথা বলছে। যে বাংলাদেশের ছয়টিতে জয়ের বিপরীতে আফগানিস্তানের জয় ৪ ম্যাচে। শেষবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে ৮৯ রানে জিতেছে।
তবে এর আগে মিরপুরে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের শেষ দেখায় সুখস্মৃতি রয়েছে আফগানিস্তানের। চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে গেছে রশিদ খান-মুজিব-উর-রহমানরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং প্রস্তুতিটাও বেশ পাঁকাপোক্ত করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানরা। যা লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখা গেছে। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে কোনো পাত্তাই দেয়নি আফগানিস্তান।
একই দলের বিপক্ষে টাইগারদের প্রস্তুতিও খারাপ ছিল না। দাসুন শানাকার দলকে সহজেই হারিয়েছে মেহেদী মিরাজের নেতৃত্বাধীন দলটি। এরপর অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফলটা ভালো হয়নি। অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ অবশ্য বোলিংয়ে লড়াই চালিয়েছিল সেই ম্যাচে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের জয়ের জন্য বোলিং-ব্যাটিংয়ে ভারসাম্যের কোনো বিকল্প নেই। শক্তির বিচারেও দুদলের পার্থক্যটা তেমন বেশি নয়। দুদলই অনেকটা স্পিন নির্ভর। তাই অন্যান্য সময়ের মতো এবারের লড়াইটাও হতে পারে বেশ রোমাঞ্চকর।
হিমাচলের কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়ায় হয়তো অনেকটা ফাঁকা গ্যালারির উপস্থিতিতে দু’দল নামবে আজ। সবুজ ঘাসে মোড়ানো ২২ গজে লুকিয়ে থাকবে সুষম বাউন্স ও রান। আফগানদের হারানোর জন্য বাংলাদেশেরও দুটিই দরকার। বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে টপ ও মিডল অর্ডারদের দায়িত্বটা ঠিকঠাক হলে ফলটা টাইগারদের পক্ষেই আসতে পারে!
অর্থসংবাদ/এমআই