বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য স্থিতিশীল থাকলেও গত মাসে চিনির বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে বলে দাবি করেছে এফএও। চিনির মূল্য সূচক আগস্টের তুলনায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে বলে সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১০ সালের নভেম্বরের পর এটিই পণ্যটির সর্বোচ্চ মূল্য।
জলবায়ুতে গড়ে দুই-সাত বছরের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে এল নিনো প্যাটার্ন, যার কারণে মধ্য ও পূর্ব গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে কোথাও অনাবৃষ্টি এবং কোথাও অতিবৃষ্টির ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, গত জুলাই থেকে এল নিনোর প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে। এটি ৯-১২ মাস স্থায়ী হতে পারে। ফলে এ সময় খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২৩-২৪ বিপণন বছরে চিনির বৈশ্বিক সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কায় দুই মাস ধরেই পণ্যটির মূল্য বেড়েই চলছে। এজন্য ভারত ও থাইল্যান্ডে ভোগ্যপণ্যটির উৎপাদন কমার আগাম পূর্বাভাসের তথ্যকে দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকেও দায়ী করছেন অনেকে।
অর্থসংবাদ/এমআই