নবুওয়াত পাওয়ার আগে মহানবী (সা.) একজন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী ছিলেন। পূর্বসূরিদের হাত ধরে তিনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইনসহ আরবের বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেন। মক্কার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হজরত খাদিজা (রা.)-এর ব্যবসা পরিচালনাও করেছেন তিনি। সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার কারণে তিনি মক্কার সফল ব্যবসায় পরিচালনাকারী হিসেবে পরিচিতি পান।
নবুওয়াত পাওয়ার পর দাওয়াতি ব্যস্ততার কারণে তিনি ব্যবসায় নিয়মিত হতে না পারলেও সাহাবায়ে কেরামকে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলতেন, ‘রিজিকের ১০ অংশের ৯ অংশই ব্যবসায়-বাণিজ্যের মধ্যে এবং এক অংশ গবাদিপশুর কাজে নিহিত।’ (আলজামিউস সাগির)
তবে ব্যবসায় সততা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করতেন তিনি। তিনি বলতেন, ‘কিয়ামতের দিন সৎ ব্যবসায়ীরা সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে উঠবেন।’ (ইবনে মাজাহ) অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত রাফে ইবনে খাদিজা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘সর্বোত্তম উপার্জন কোনটি?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তির নিজস্ব শ্রমলব্ধ উপার্জন ও সততার সঙ্গে বেচাকেনা।’ (মুসনাদে আহামদ)
পবিত্র কোরআনেও ব্যবসার গুরুত্বের কথা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা দেখতে পাও, নদী-সমুদ্রে নৌকা-জাহাজ পানির বক্ষ দীর্ণ করে চলাচল করছে, যেন তোমরা তার অনুগ্রহ (রিজিক) সন্ধান করতে পারো।’ (সুরা আল ফাতির: ১২) আল্লাহ আরও বলেন, ‘এমন বহু লোক রয়েছে, ব্যবসায় ও কেনাবেচা যাদের আল্লাহর স্মরণ, সালাত কায়েম ও জাকাত আদায় থেকে বিরত রাখতে পারে না।’ (সুরা আন নূর: ৩৭)
অর্থসংবাদ/এসএম