প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসায়ীরা এবার বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদক যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিনের কেমন ফলন হবে, সেই পূর্বাভাসের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। ফলে আপাতত এ খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন তারা। এ কারণে ভোজ্যতেল, সাবান, শ্যাম্পু, গ্লিসারিন ও লুব্রিকেন্টস জাতীয় পণ্য তৈরির মূল উপাদানের বাজার চাপে পড়েছে।
আলোচ্য কার্যদিবসে শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে সক্রিয় সয়াবিনের চুক্তি মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১৯ সেন্ট বা ১ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রতি বুশেলের দাম নির্ধারণ হয়েছে ১২ ডলার ৫২ সেন্টে। এদিন একপর্যায়ে যা ছিল ১২ ডলার ৫১ সেন্টে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বরের পর তা সবচেয়ে কম।
যুক্তরাষ্ট্রে ধারণার চেয়ে বেশি সয়াবিন উৎপন্ন হবে প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকরা। ফলে দরপতন ঘটেছে কৃষিজ পণ্যটির। বৈশ্বিক কৃষিপণ্য সরবরাহ ও চাহিদা পূর্বানুমানের (ডব্লিউএএসডিই) প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রেকর্ড সয়াবিন উৎপাদন হবে উল্লেখ করে ইলিনয়ভিত্তিক কৃষি ঝুঁকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্লেইটন পোপ কম্মোডিটিজের পরিচালক ক্লেইটন পোপ বলেন, ‘অসংখ্য লোক বলছেন, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রেকর্ড সয়াবিন উৎপাদন হবে। ইতোমধ্যে মার্কিন তেলবীজটির চাহিদায় পতন ঘটেছে। তাতে দামও নিম্নমুখী হয়েছে।’
এদিকে বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তা চীনের ক্রেতাদের কাছে ১ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন সয়াবিন বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। এ ছাড়া অন্যান্য গ্রাহকদের নিকট ২ লাখ ১৩ হাজার টন তেলবীজটি সরবরাহ করেছে তারা।
অর্থসংবাদ/এমআই