সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে সরকার সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে সারা দেশে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য চলছে।৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ আইন সংশোধনসহ পরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে ৯ দফা দাবি দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে ১২ ও ১৩ অক্টোবর পণ্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি সভাটি আয়োজন করে। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ওসমান আলী পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
ওসমান আলী বলেন, সব পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে। দাবি আদায়ের জন্য ধাপে ধাপে ৯৬ ঘণ্টা এবং প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট ডাকা হবে। ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, প্রাইমমুভার, মিনিট্রাক ও লরি না চললে দেশের বিভিন্ন বন্দর ও স্থান দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করা সব ধরনের গার্মেন্টস, খাদ্য ও বিভিন্ন পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সরকার বেকায়দায় পড়বে। সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য সংগঠনের উদ্দেশ্য নয়। সড়ক পরিবহন আইন সব পরিবহনের জন্য সমান হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।