শুক্রবার রাত ৯টা ২৯ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোরশেদুল আলম রনী ও রিয়াদ খানের ফেসবুক আইডি থেকে এই ভিডিওটি লাইভ করা হয়েছে। এরপর শনিবার সকাল থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওর কথোপকথনে বোঝা গেছে, রূপালী ব্যাংকের শাখা টিএসসিতে স্থানান্তর করতে না দেওয়ায় এই অভিযোগ করেছিলেন ম্যানেজার। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাইভ ভিডিওটিতে বারবার জানতে চেয়েছেন, কেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে ক্যাম্পাস থেকে টিএসসিতে রূপালী ব্যাংকের শাখা স্থানান্তর শুরু করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ সময় সেখানে ব্যাংকের শাখা স্থানান্তর করা যাবে না এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে আপত্তি আছে বলে বাধা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বিষয়টি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শাখা স্থানান্তরের জন্য বলেন। কিন্তু ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অভিযোগ করেন রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে ম্যানেজারের কাছে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চান। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করা হয়।
হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ খান বলেন, ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। আর ফেসবুক লাইভে শুধু আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার বিষয়টি জানতে গিয়েছিলাম।
রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে মিটিং করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ব্যাংকের জিএমের সঙ্গেও মিটিং হবে। এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেব, তা মিটিংয়ের পর জানা যাবে।