অর্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ২০২১ সালের মহামারীর পর সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে দেশটিতে ঘাটতির আকার ছিল ২ দশমিক ৭৮ ট্রিলিয়ন ডলার। মহামারীজনিত ব্যয় ও বরাদ্দের কারণে বেড়েছিল ঘাটতির পরিমাণ। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরবর্তী দুই বছরে ঘাটতি কমতে থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সম্প্রতি বাইডেন কংগ্রেসে নতুন করে ১০ হাজার কোটি ডলার সহায়তার প্রস্তাব তোলেন। তার মধ্যে ৬ হাজার কোটি ডলার ইউক্রেন এবং ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ইসরায়েলের জন্য। বাকি অর্থ বরাদ্দ হবে দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে।
ঘাটতির আকার মহামারীপূর্ব রেকর্ডকেও অতিক্রম করে গেছে। ফলে এর মধ্য দিয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে রিপাবলিকানদের সঙ্গে টানাপড়েন আরো বাড়বে। জুলাই থেকেই রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে ব্যয় সংকোচনের জন্য চাপ আসছিল।
সেপ্টেম্বর ছিল ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ মাস। মাসটিতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় কম। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ঘাটতির আকার ছিল ৪৩ হাজার কোটি ডলার। অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং বাজেট পরিচালক শালান্ডা ইয়াং যৌথ বিবৃতিতে জানান, ২০২৩ অর্থবছরে ঘাটতির পেছনে সরকারি রাজস্ব কমে যাওয়া একটি বড় অনুঘটক। ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে শুল্কনীতির সংস্কার করেছেন, তার সম্ভাবনা ও প্রয়োগ বিবেচনার দাবি রাখে।
২০২২ অর্থবছরে ঘাটতির আকার ছিল ১ দশমিক ৩৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার। সেদিক থেকে ২০২৩ অর্থবছরে ঘাটতির আকার বেড়েছে ৩২ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এ ঘাটতির মধ্য দিয়ে বাইডেনের আমলে ঘাটতি কমানোর যে প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, তার সমাপ্তি ঘটল। এর আগে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি ছিল রেকর্ড ৩ দশমিক ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার। ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি, বেকার ভাতা ও সুবিধা এবং মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্তকে সহযোগিতার কারণে তখন বেড়েছে ব্যয়ের আকার।
বাজেট কর্তৃপক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে, চলমান শুল্কনীতি এবং ব্যয় অব্যাহত থাকলে চলতি দশকের শেষ নাগাদ ঘাটতির পরিমাণ মহামারী পর্যায়ে পৌঁছবে। বাড়বে সুদ, স্বাস্থ্য ও পেনশনজনিত ব্যয়। ২০৩০ সালের মধ্যে ঘাটতির আকার দাঁড়াবে ২ দশমিক ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার।
অর্থসংবাদ/এমআই