সোমবার (২৩ অক্টোবর) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : বাংলাদেশ -ফ্রান্স ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট- প্যারিস’ ২০২৩ শীর্ষক রোডশোতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসইসি ও বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সহযোগী হিসেবে রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুই দেশের দূতাবাস। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম, ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট পিয়েরে জিন মালগুয়েরেস, থ্রি আই এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইস্তাক আহম্মেদ শিমুলসহ বিএসইসি ও বিডার কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।
অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলার। এখন আমাদের জিডিপির আকার ৪৬০ বিলিয়ন ডলার। আমরা এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। ২০০৯ সালে আমরা ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতাম। তখন আমাদের দেশে ৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হতো। এখন আমাদের ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। প্রত্যেক ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুৎ রয়েছে। পোশাকশিল্পে আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বে ফ্রান্স একটি বৃহত্তম বাজার। এই বাজারে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে তথ্য উপাত্তের ঘাটতি আছে, সেগুলো পৌঁছে দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। কারণ বাংলাদেশ সম্পর্কে তারা ভুল তথ্য নিয়ে ভালোভাবে আমাদের দেশকে পর্যালোচনা করতে পারেনি। এখন তারা জানতে পারছে, বুঝতে পারছে। ফলে বাংলাদেশকে ফ্রান্স এখন পার্টনার মনে করে। আগে তারা বাংলাদেশকে অনুদান দিত এবং প্যারিসে একটি বাংলাদেশ নিয়ে ডোনেট ক্লাব ছিল। এখন আমরা সাহায্য চাই না । আমরা এখন বিনিয়োগ চাই। এখানে পার্টনার খুঁজতে এসেছি। এটাই আজকের পরিবর্তন।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আমাদের জাতির পিতার জন্মদিনে ১৯৭২ সালের ১৭ই মার্চ প্যারিসে বাংলাদেশি দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশের কূটনৈতিক নীতি হচ্ছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গেই বৈরিতা নয়।
তিনি জানান, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, ব্যাগ, জুতা, প্রক্রিয়াজাতকরণ মাছসহ বেশকিছু পণ্য বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে রপ্তানি করা হয়।