প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার সকালে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শুরুর আগে বাংলাদশ কোডের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরও উপস্থিত ছিলেন।
লাল-সবুজের প্রচ্ছদে ‘বাংলাদেশ কোড’ এবার ৪৭ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রচলিত সব আইন নিয়ে সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার প্রকাশিত বাংলাদেশ কোডে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রণয়ন হওয়া ১ হাজার ১৭৭টি আইন যুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লজ (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লেয়ারেশন) অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর ৬ ধারা অনুযায়ী দেশে প্রচলিত সব আইনসমূহ একত্রিত করে বই আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই বইটিই ‘বাংলাদেশ কোড’। এই আইনি বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ এযাবৎকালের সব প্রচলিত আইন একত্রিত করে হালনাগাদ বাংলাদেশ কোড প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী আরিফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ টিম বাংলাদেশ কোড প্রকাশের কাজ সম্প্রতি শেষ করে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে প্রথম বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে ওই বছর ১১ খণ্ডে প্রকাশ করা ওই বইয়ে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত প্রচলিত আইনসমূহ ছিল। এরপর ২০০৬ সালে ৩৮ খণ্ডে এবং ২০১৬ সালে ৪২ খণ্ডে প্রকাশ করা হয়েছিল বাংলাদেশ কোড। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম প্রচলিত সব আইন হালনাগাদসহ বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করা হচ্ছে।