বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে একই সাথে শুরু হয়েছে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপের কাজ। রবিবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে হাড়বাড়ীয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাঘ গণনার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
আগামী বছরের এপ্রিলে মাসে এই সুন্দরবনের এই দুই রেঞ্জের বাঘ জরিপের কাজ শেষ হবে। আগামী বছরের ২৯ জুলাই বাঘ দিবসে সমগ্র সুন্দরবনের বাঘের হালনাগাদ সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে বন বিভাগ। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ছিল ১১৪টি।
সুন্দরবনের দুই রেঞ্জে বাঘ জরিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ বাঘ গণনার কাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা।
সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন জানান, সুন্দরবনে বাঘ জরিপের কাজ শরিু হয় ২০১৩-১৪ সালে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। এবার বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় বাঘ জরিপে ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি দুটি রেঞ্জ বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা ৫ নভেম্বর থেকে জরিপ চালানোর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসে এই জরিপ কাজ শেষ হবে। চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে ৩০০টি স্থানে দুটি করে মোট ৬০০টি ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। বিশ্লেষণ শেষে ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে সুন্দরবনে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হবে। ২০১৫ সালের সেই জরিপে ১০৬টি বাঘ সুন্দরবনে আছে বলে জানা যায়। এরপর ২০১৮ সালে জরিপ সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। এখন বাঘের সেই সংখ্যা কমেছে, নাকি বেড়েছে তা জানতে নতুন করে জরিপ চালানো হচ্ছে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসে এই জরিপ কাজ শেষ হবে।
তিনি আরও জানান, গত বছব সুন্দরবনে বাঘের শিকার করা প্রাণীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজারে। তাই ধারনা করা হচ্ছে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।