১২ দেশে পোশাক প্রত্যাহার নিয়ে যা বললো বিজিএমইএ

১২ দেশে পোশাক প্রত্যাহার নিয়ে যা বললো বিজিএমইএ
দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের উৎপাদন পক্রিয়ায় সমস্যার কারণে ১২টি দেশ তাদের বাজার থেকে বাংলাদেশের পোশাক প্রত্যাহার করেছে এমন সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

রোববার (৫ নভেম্বর) জাতীয় একটি দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশের পর সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানিয়েছে, ‘১২ দেশে বাংলাদেশের পোশাক প্রত্যাহার’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতি বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আমরা বিষয়টি স্পষ্টকরণের জন্য তাগিদ অনুভব করছি, যাতে করে শিল্প বিষয়ে বিভ্রান্তির অবসান হয়ে, সত্য প্রকাশিত হয়, শিল্পকে নিয়ে অপব্যাখ্যাা না হয় এবং এ ধরনের প্রতিবেদনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

যেহেতু সংবাদে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট দেশে একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড কর্তৃক সোর্স ও রিটেইল করা শিশুদের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইটেমে শ্বাসরুদ্ধকরণ এবং ইনজেশনের ঝুঁকির মতো প্রযুক্তিগত ত্রুটি পাওয়া গেছে, তাই এ ঘটনাকে শিল্প ও বৃহত্তরভাবে দেশের ওপর ঢালাওভাবে চাপিয়ে দিয়ে সাধারণকরণের যে কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রকাশিত সংবাদে প্রায় ১২টি দেশ কর্তৃক বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রত্যাহার করার কথা উল্লেখ করা হলেও এ ধরনের দাবির বিষয়ে কোনো রেফারেন্স নেই এবং আমরা এর কোনো সপক্ষে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণও খুঁজে পাইনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, আমি ওইসিডির বিষয়টিও স্পষ্ট করতে চাই, যা প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওইসিডি পণ্য রিকল করার গ্লোবাল পোর্টাল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ওইসিডি সদস্যদের পণ্য প্রত্যাহার করার বিজ্ঞপ্তিগুলো এই পোর্টালে তালিকাভুক্ত করা হয়। যে কোনো বৈধ কারণে পণ্য প্রত্যাহার করা একটি প্রচলিত চর্চা এবং আজ পর্যন্ত এই ধরনের শত শত প্রত্যাহার ওইসিডি ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

অধিকন্তু ওইসিডি ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, হেলথ কানাডা বুধবার ২ লাখ টারও বেশি জর্জ ব্র্যান্ড স্লিপার (রাতে পরার পাশাক) শিশুদের শ্বাসরোধ এবং খাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করার জন্য প্রত্যাহার করেছে। ওয়ালমার্টে বিক্রি হওয়া প্রত্যাহার করা পণ্যটির সাইজ শূন্য থেকে ৫টি এবং এর মধ্যে ছেলেদের জন্য দুটি এবং মেয়েদের জন্য দুটি স্টাইল অন্তর্ভুক্ত।

সংস্থাটি বলেছে, রাতে পরার পোশাকের জিপারের টানে এবং পায়ের গ্রিপগুলো ঘন ঘন ধোঁয়ার পরে শেষ পর্যন্ত আলাদা হয়ে যেতে পারে, যার ফলে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার এবং ইনজেশনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সংস্থাটি, কানাডায় কোনো আঘাতপ্রাপ্তির রিপোর্ট পায়নি।

তাই, স্বাস্থ্যগত কিছু ঝুঁকির কারণে পণ্যগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি প্রস্তুতকারকদের ভুল নয়। বাংলাদেশে তৈরি প্রতিটি পণ্যকে অবশ্যই একটি কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ল্যাব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সমস্ত রপ্তানিযোগ্য পণ্যকে অবশ্যই ক্রেতাদের মান ও রপ্তানি বাজারের জন্য প্রাসঙ্গিক আইনের শর্ত পূরণ করতে হবে। ভোক্তাদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার শর্ত পূরণে ব্যর্থ যে কোনো পণ্য সাধারণত ক্রেতাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়। তাই ‘বাংলাদেশে তৈরি পোশাক উল্লিখিত দেশগুলোতে নিষিদ্ধ’-এর মতো যে কোনো অপব্যাখ্যা সত্যের অপলাপ মাত্র। অভিযুক্ত পণ্যগুলো ২০২২ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়েছিল এবং ২০২২-এর নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত কানাডায় খুচরা বাজরে বিক্রি করা হয়েছিল। হেলথ কানাডার পণ্য প্রত্যাহার বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ‘২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সংস্থাটি কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, এ মর্মে কোনো রিপোর্ট পায়নি’।

আমি আশা করি, স্পষ্টকরণের এই বিবৃত্তিটি উল্লিখিত বিষয়ে যে কোনো বিভ্রান্তি দূর করতে এবং ভুল পথে না চলতে আমাদের সহায়তা করবে।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ
ইভ্যালিতে বড় অফার আজ, ১০ টাকায় মিলবে পাঞ্জাবি
হিলিতে আদা-সবজিতে স্বস্তি, বাড়তি দামে রসুন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঐক্যমতে শেষ হলো গ্লোবাল বিজনেস কনফারেন্স
১১ মাসে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি
২০২৪ সালে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর
আইসিএবির নতুন সভাপতি ফোরকান উদ্দীণ
বিসিক শিল্পনগরীতে এক হাজার ৯৮ প্লট খালি