তথ্য মতে, আমদানি নতুন উচ্চতায় ওঠার কারণে গত অক্টোবর মাসে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ১৪০ কোটি ডলারে উঠেছে। এর আগে জুলাইয়ে যা আগের সর্বোচ্চ ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারে উঠেছিল।
এদিকে অক্টোবরে ভারতের আমদানি ও রপ্তানি উভয়ই বেড়েছে। গত মাসে দেশটির রপ্তানি প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে বেড়েছে। সে মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৩। একই সময় আমদানিও অনেকটা বেড়েছে, ১২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে তা ৬৫ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। দীর্ঘদিন পর রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির মুখ দেখল ভারত।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের পণ্য রপ্তানি রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। সেবার দেশটির পণ্য রপ্তানি হয় ৪৫১ বিলিয়ন বা ৪৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার, যদিও বছরের দ্বিতীয় ভাগে কিছুটা ধীরগতি ছিল। এতে অবশ্য এবার কিছুটা সুবিধা হবে, অর্থাৎ বছরের দ্বিতীয় ভাগে প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বেশি দেখাবে। বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে যাওয়া নীতিপ্রণেতাদের জন্য উদ্বেগের; কারণ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়লে এই বাণিজ্য ঘাটতির কারণে রুপির দরপতন হবে।
দু-এক বছর ধরেই রুপির দরপতনের ধারা চলছে। গত শুক্রবার ডলারের বিপরীতে রুপির সর্বোচ্চ দরপতন হয়, সেদিন ডলারের বিপরীতে ৮৩ দশমিক ৪২ রুপি পাওয়া গেছে। পরে অবশ্য রুপি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ডলার আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হলে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার কমতে থাকে, যা যেকোনো অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক।
অর্থসংবাদ/এমআই