অনেকের ধারণা স্ট্রোক হার্টে হয়, আসলে স্ট্রোক হয় ব্রেইনে। হার্টে হলে বলে হার্ট এটার্ক। ব্রেইনে কোনো কারণে রক্ত সরবরাহ বিঘ্ন হলে রক্তের অভাবে কিছু ব্রেইন টিস্যু মারা যায়, এটাই স্ট্রোক।
স্ট্রোকের সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলে জীবনরক্ষা সম্ভব। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা সেটা বুঝতে পারি না, ফলে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়ে, যায় ফলে স্ট্রোকের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং স্ট্রোক পরবর্তী সমস্যাও আরও বেড়ে যায়।
প্রথমত আপনাকে FAST শব্দটি দ্বারা স্ট্রোক হয়েছে কিনা নিশ্চিত হোন।
* F=Face (মুখ), স্ট্রোকের সঙ্গে সঙ্গে মুখ বেঁকে যায়।
* A=Arm (হাত) শরীরের যে কোনো এক পাশের হাত পা প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
* S= Speech (কথা) কথা বলতে সমস্যা হয়।
* T= Time to call 999 for Ambulance।
আপনি FAST শব্দটি দ্বারা বুঝতে পারলেন, আপনার নিকটজন স্ট্রোক করছে এবং অ্যাম্বুলেন্স কল দিয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসা পর্যন্ত এখন আপনি কী করবেন
* রোগীর যদি জ্ঞান থাকে তাহলে এক পাশ করে শুইয়ে দিন। প্যারালাইসিস অংশ ওপরে থাকবে, সুস্থ অংশ বিছানার সঙ্গে নিচে থাকবে। একটি উঁচু বালিশ বা দুটি বালিশ দিয়ে মাথা ওপরের দিকে রাখবেন। অবশ্যই মাথা এবং প্যারালাইসিস হাতকে সাপোর্ট দিয়ে রাখবেন। লক্ষ্য রাখবেন, প্যারালাইসিস হাত যেন না ঝুলে থাকে।
* কোনোভাবেই প্যারালাইসিস হাতকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। এতে করে পরবর্তীতে সোল্ডার সাবলাক্সেশন হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঘটনা হয়ে থাকে। ফলে ওই রোগী পরবর্তীতে ভালো করা কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে হাতের ফাংশন বাধাগ্রস্ত হয়।
* স্ট্রোক করা রোগীকে কোনো কিছু খেতে দেবেন না, এমন কি পান করতেও দেবেন না।
* শরীরে কোনো টাইট কাপড় পরা থাকলে খুলে দিবেন, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে রোগীর কোনো অসুবিধা না হয়।
* রোগী যদি অজ্ঞান থাকে, তাহলে ভালো পাশে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস চেক করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস ওকে থাকলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করুন।
* আরও যদি শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস পাওয়া না যায় সিপিআর (CPR-Cardiopulmonary Resuscitation) শুরু করতে পারেন। যদি আপনার জানা থাকে। আর জানা না থাকলে আপনার নিকটবর্তী হেলথ কেয়ার প্রফেশনালের সহযোগিতা নিতে পারেন।