গ্রামীণফোনের ১৮০ জন স্থায়ী কর্মীকে নিয়ে চলমান শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির দ্বিতীয় ত্রি-পক্ষীয় সালিশি সভায়ও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দু’পক্ষই উপস্থিত হওয়ার পরও গ্রামীণফোনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়ানো হয়েছে।
সভায় গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা আপিল বিভাগের রায়ের পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা চেয়ে হাইকোর্টে আরজি করেছে। ফলে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক (ট্রেড ইউনিয়ন ও সালিশি) এস এম এনামুল হক উভয় পক্ষকে হাইকোর্টের রায় আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে অনুরোধ করে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের মে মাসে গ্রামীণফোন মালিকপক্ষের অবৈধ লক আউটের শিকার হয় প্রতিষ্ঠানের ১৮০ জন স্থায়ী কর্মী। ফলে গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (সিবিএ) গ্রামীণফোন লিমিটেডের স্বীকৃত যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি হিসেবে মালিকপক্ষের এই অবৈধ লক আউট এর শিকার অত্র কোম্পানির ১৮০ জন স্থায়ী কর্মীকে অনতিবিলম্বে স্ব স্ব কর্মে নিয়োজিত করার দাবি লিখিত ভাবে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বিরোধটি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে যৌথ দরকষাকষির নিমিত্তে কোন সভার ব্যবস্থা না করে কতিপয় মনগড়া ও ভিত্তিহীন অজুহাতে গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সহিত যৌথ দরকষাকষি করতে অস্বীকার করে।
এমতাবস্তায়, গ্রামীণফোন মালিকপক্ষের অবৈধ লক আউটের শিকার ১৮০ জন স্থায়ী কর্মীকে তাদের স্বীয় কর্মে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে গ্রামীণফোন লিমিটেডের স্বীকৃত যৌথ দরকষাকষি প্রতিনিধি (সিবিএ) হিসেবে গ্রামীনফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ) ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শ্রম অধিদপ্তরে একটি শিল্প বিরোধ অভিযোগ দাখিল করে। পরবর্তীতে শিল্প বিরোধ অভিযোগটি পর্যায়ক্রমে মহামান্য হাইকোর্ট এবং সর্বশেষ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে চলমান থাকে।
শিল্প বিরোধ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ লেবার আইনের ধারা ২২৮ কে উপেক্ষা করে ২০২১ সালের ২০ জুন ১৫৯ জন স্থায়ী কর্মীকে অবৈধ ভাবে ছাটাই করে। এরই ধারাবাহিকতায় দায়ের করা চলমান শিল্প বিরোধ মামলাটির চুড়ান্ত নিস্পত্তির জন্য মহামান্য আপিল বিভাগ চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর চলমান শিল্প বিরোধটিকে সঠিক বলে রায় দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শ্রম অধিদপ্তরকে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে চলতি মাসের ৮ নভেম্বর শ্রম অধিদপ্তরে সালিশি বোর্ডে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে গ্রামীনফোন অনুপস্থিত ছিল। তবে বাদী পক্ষের বক্তব্য শোনেন সালিশ বোর্ড।
অর্থসংবাদ/এসএম