গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত এসব আইনজীবী মৃত্যুবরণ করেছেন বলে এমন তথ্য দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তার মতে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো সম্পাদকই এতো আইনজীবীর মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি। সবেচেয়ে বেশি মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছেন তিনি। আর এটা তার জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে সম্পাদক ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে সব সদস্যকে অবহিত করেন।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে রয়েছেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি-সম্পাদক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান, অ্যাডভোকেট ড. এনামুল হক, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মান্নান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত ব্যারিস্টার কে এস নবীর কনিষ্ঠ পুত্র ব্যারিস্টার কাজী সিরাতুন নবী, অ্যাডভোকেট এ টি এম আলমগীর হোসেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী সাজাওয়ার হোসেন প্রমুখ।
গত ৭ অক্টোবর প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের স্মরণে এক শোক সভায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৬২ জন সদস্যকে হারিয়েছি। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একমাত্র জানাজা হয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের।
তিনি বলেন, সম্পাদকদের মধ্যে আমার সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। কারণ এখানে আটজন সম্পাদক উপস্থিত আছেন। ওনাদের এতো মানুষের মৃত্যুর মেসেজ পাঠাতে হয়নি।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, মাহবুবে আলম আমাকে বলেছিলেন- কাজলকে দেখলে ভয় লাগে। শুধু মরা মানুষের মেসেজ পাঠায়। ওর মেসেজ এলে আতঙ্ক লাগে, কোনো মৃত্যুর মেসেজ এসেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাহবুবে আলমের মেসেজটিও আমাকে পাঠাতে হয়েছে।