রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কর দেওয়া সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আরো বেশি কার্যকর অবদান রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আয়কর প্রদানকে সহজ ও উৎসবে রূপান্তর করতে নভেম্বর মাসব্যাপী সারাদেশের কর অফিসগুলোতে করসেবা প্রদান করার জন্য কর বিভাগে কর্মরত সবাইকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। আমি আশা করি, সাধারণ জনগণকে কর প্রদানে উৎসাহিত করতে এবং কর প্রদান সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আরো বেশি কার্যকর অবদান রাখবে।’
রাষ্ট্রপতি জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় আয়কর দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় আয়কর দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর দেবো গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, রাজস্ব আহরণের অন্যতম ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কার্যকরী মাধ্যম আয়কর। উন্নত রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যক্ষ কর বা আয়করের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এবং আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আয়কর প্রদানের পরিবেশ সৃষ্টি ও আয়কর সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে পারলে জনগণের কর বিষয়ক ভীতি দূর হবে এবং সমাজে কর পরিপালনের সংস্কৃতি বিকশিত হবে। আয়কর সম্পর্কে ভীতি ও অসচেতনতা দূর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্ভাবনীমূলক ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন এবং আয়কর তথ্য ও সেবা মাস আয়োজন, সর্বোচ্চ করদাতাকে সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড প্রদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও রাষ্ট্রপতি মনে করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আয়কর আইন-২০২৩ প্রণয়ন এবং প্রথমবারের মতো ট্যাক্স রিটার্ন প্রিপেয়ারার সিস্টেম প্রবর্তন, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল, ইলেকট্রনিক-ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স (ই-টিডিএস) এ চালান এবং নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীর সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালু করা রাজস্ব বোর্ডের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি মনে করেন, এসব ইতিবাচক কর্মসূচি ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমের ফলে আয়কর ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে।