দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারালো টাইগাররা

দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারালো টাইগাররা
একটা সময় মনে হচ্ছিল, বড় রকমের বিপদেই বুঝি পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ১৮ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল টাইগাররা। ভারি আর স্পিনিং পিচের পূর্ণ সুবিধাই যেন আদায় করতে শুরু করেছিলেন দুই কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেল এবং মিচেল স্যান্টনার। সেখান থেকেই দলের অবস্থা কিছুটা বলার মত অবস্থায় টেনে নিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং নবাগত শাহাদাত হোসেন দিপু। 

পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৩৩ রান। বাংলাদেশ দল লাঞ্চে গিয়েছে ৮০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। বিপদ যে পুরোপুরি কেটেছে তা অবশ্য বলার উপায় নেই। মুশফিক-দিপুর এই জুটি থেকে ভাল কিছু না এলে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাতে হবে বাংলাদেশকে।

ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরগতির। খুব একটা তাড়াহুড়ো করেননি দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং মাহমুদুল হাসান জয়। যদিও শুরু থেকেই তাদের অস্বস্তি টের পাওয়া গিয়েছিল। একাধিকবার লেগ বিফোরের আবেদন এসেছে। রানআউটের সুযোগ ছিল। তবে কখনো ভাগ্য, আবার কখনো আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।

অবশ্য এমন সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থই হয়েছেন দুই ওপেনার। ১১তম ওভারে অকারণে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কেইন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দেন জাকির। আর ঠিক তার পরের ওভারেই এজাজ প্যাটেলের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা মাহমুদুল হাসান জয়।

জাকির খেলেছেন ২৪ বলে ৮ রানের ছোট ইনিংস। ইনিংসের শুরু থেকেই ছিলেন অস্বস্তির মাঝে। একাধিকবার তাকে সুইং দিয়ে পরাস্ত করেছেন এজাজ প্যাটেল-মিচেল স্যান্টনাররা। সে তুলনায় জয় কিছুটা ধীরস্থির ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন ৪০ বলে করেছিলেন ১৪। দুই আউটের ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই চাপ আরও বেড়ে যায় টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের আউটে। এজাজ প্যাটেলের দিনের দ্বিতীয় শিকার তিনি। সুইং হয়ে ভেতরের দিকে আসা বলটা ইনসাইড এজ হয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেলের হাতে। ৪১ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ।

এরপরেই আবার স্যান্টনারের আঘাত। এবার আউট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অহেতুক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন টাইগার অধিনায়ক। এরপরেই দলের প্রয়োজন বুঝে ব্যাট করেছেন মুশফিক এবং দীপু। টানা চার ওভার কোনপ্রকার রান না নিয়েই পার করে বাংলাদেশ। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে নিজেদের খোলস থেকে বের করে এনেছেন দুজনেই। ৭৮ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন লাঞ্চে।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে