জাহাজ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া।
এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ বার আউলিয়া ও আটলান্টিক জাহাজে দ্বীপ ভ্রমণে যান প্রায় ১ হাজার পর্যটক। একই দিন বিকেলে ৭০০ পর্যটক দ্বীপ ছাড়লেও বাকিরা সেখানে রাত্রিযাপন করেন।
বিআইডব্লিউটিএ এর টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখানো হয়েছে। এ কারণে বুধবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে আসা বেশ কিছু পর্যটককে সেখানে রাত্রিযাপন করতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের নিয়ে আসা হবে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, ৩ নম্বর সংকেতের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বুধবার জাহাজ বন্ধ থাকবে। তবে বেড়াতে আসা কিছু পর্যটক দ্বীপে রয়েছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এ ধরনের ঘটনায় কমপক্ষে ২ দিন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে।
জাহাজ চলাচল বন্ধের কথা স্বীকার করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার ফলে সমুদ্র উত্তালের কারণে বুধবার এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ভ্রমণে আসা বেশকিছু পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছে, তাদের খোঁজখবর রাখা হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই