শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দিল যে মনেটরি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই ত্রৈমাসিকে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থাকবে। উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির উদ্বেগের কারণে ধাপে ধাপে রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল।
এদিকে আজকে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি রেট থাকবে ৬.২৫ শতাংশ। এছাড়া মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেলিসিটি রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। ব্যাংক রেট থাকবে ৬.৭৫ শতাংশ। অপরদিকে ফিক্সড রিভার্স রেপো রেট থাকবে ৩.৩৫ শতাংশ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছিল আরবিআই। তবে গত এপ্রিল মাসে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়। পরে জুন ও অগস্ট মাসেও পরিবর্তন করা হয়নি রেপো রেট। উৎসবের মরশুমে অক্টোবরেও অপরিবর্তিত ছিল রেপো রেট। আর আজও আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, মনেটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কমিটিতে আরবিআই’র তিনজন আছেন এবং সরকারের তরফে আরও তিনজনকে মনোনীত করা হয়ে থাকে এই কমিটিতে।
আরও পড়ুন: ভারতে ঘৃণাভাষণ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ
এদিকে এবারে রেপো রেট বৃদ্ধি না পাওয়ার ফলে গৃহঋণ গ্রাহকদের পকেটে নতুন করে চাপ পড়বে না বলে আশা করা হচ্ছে। এই আবহে অপরিবর্তিত থাকতে পারে ইএমআই এবং ঋণের ওপর সুদের হার। তবে রেপো রেট বৃদ্ধি না হওয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের স্থায়ী আমানতের হারও হয়ত অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী বিগত কয়েক মাস ধরেই মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে এবং এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত দেশেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু আরবিআই এই মুহূর্তে নিশ্চিত যে সুদের হার কম রাখাই দেশের অর্থনীতির জন্য সঠিক হবে।
আরবিআই’র আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটির যুক্তি, নিম্ন সুদের হারের ফলে ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হবে। অর্থনীতির আউটপুট এবং জিডিপি হার বাড়াতে সাহায্য করবে কম সুদের হার। তবে আশঙ্কা, কম সুদের হারে মুদ্রাস্ফীতিও বাড়তে পারে। তবে আরবিআই জানাচ্ছে, ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে প্রকৃত জিডিপি।
অর্থসংবাদ/এমআই