বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি আউটলুক প্রতিবেদন বলছে, চালের সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে পারে ভুট্টা ও গমের ফলন। আগামী বছর খাদ্যশস্য দুটির ব্যাপক সরবরাহ প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিএমআইর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) তালিকাভুক্ত দ্বিতীয় মাসে সরবরাহ চুক্তিতে ভুট্টা, সয়াবিন ও গমের গড় বার্ষিক মূল্য যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯, ৩ দশমিক ৯ ও ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমতে পারে। ফসল তিনটির উৎপাদনের ওপর বার্ষিক গড় মূল্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
কভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২০ সালে খাদ্যশস্যের দাম ব্যাপক বেড়ে যায়। তবে বছরওয়ারি হিসাবে ২০২৩ সালে বার্ষিক গড় মূল্য ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমতে পারে বলে প্রত্যাশা।
শীর্ষ উৎপাদক দেশগুলোয় ২০২৩-২৪ মৌসুমে ব্যাপক ফলন হলে বাজারে দামের ওপর নিম্নমুখী প্রভাব পড়তে পারে। চলতি বছর আরো একবার রাশিয়ায় গমের ব্যাপক উৎপাদন প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে ব্রাজিলিয়ান ভুট্টা ও সয়াবিন সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএমআই বলছে, উৎপাদন খরচে বিশেষ করে বর্তমান নিম্ন জ্বালানি ও সার খরচের কারণে খাদ্যশস্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও পরবর্তী ১২ মাসে জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কমোডিটি আউটলুকে বলা হয়েছে, ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বিপণন বছরে সয়াবিন তেলের উৎপাদন ৯ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে ভোজ্যতেলটির দাম নিম্নমুখী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভুট্টার দাম চলতি বছর ২২ শতাংশ কমার প্রাক্কলন ছাড়াও ২০২৪ সালে শস্যটির দাম আরো ৮ শতাংশ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর গমের দাম আগামী বছর প্রায় ৩ শতাংশ কমার প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিএমআই বলছে, ‘খাদ্যশস্য মূল্য কভিড-১৯ স্তর থেকে কমলেও তা প্রাক-কভিড স্তরের চেয়ে বেশি থাকবে। আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৫ ও ২০১৯ সালের গড় দামের তুলনায় ২০২৪ সালে ভুট্টা, সয়াবিন ও গমের গড় দাম ৩০-৪০ শতাংশ বেশি থাকবে। কারণ নিম্ন মজুদ। কভিডকালীন সময়ে খাদ্যশস্যের মজুদ যে পরিমাণে কমে গেছে তা এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি।’
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক বলছে, ‘২০২৪ সালে চালের দাম ৬ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ায় এল নিনোর প্রভাবসহ শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর রফতানি সীমিতকরণ নীতি খাদ্যশস্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।’
অর্থসংবাদ/এমআই