একটি সূত্র জানিয়েছে, অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে। কারণ যেসব অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে; সেগুলোর সব এখনো গণনা করা হয়নি। এছাড়া অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আরও কয়েকটি জায়গা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
কর বিভাগ ওড়িশাভিত্তিক একটি চোলাই মদের কোম্পানির, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং পশ্চিম বঙ্গের অফিসে অভিযান চালিয়েছে।
কর বিভাগের সূত্র আরও জানিয়েছে, তিনটি স্থানের সাতটি রুম এবং নয়টি লকারে এখন পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়নি। উদ্ধারকৃত নগদ অর্থগুলো ফার্নিচার, কাপবোর্ডসহ বিভিন্ন কিছুর ভেতর পাওয়া গেছে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, তারা আরও কিছু স্থানের সন্ধান পেয়েছেন; যেখানে আরও নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার থাকতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বোধ চোলাইয়ের অফিস সংশ্লিষ্ট; বালদেভ সাহু ইনফ্রাতে এবং এই কোম্পানির একটি চালের আড়তে অভিযান চালানো হয়েছে।
এছাড়া ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের এমপি ধিরাজ কুমার সাহুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক বিবৃতিতে বলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেসব অর্থ লুট করা হয়েছে সেগুলো ফিরিয়ে আনা হবে।
বিরোধী দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্য করে মোদি বলেছেন, ‘দেশের মানুষদের এই নোটের স্তূপ দেখা এরপর তাদের নেতাদের নীতি বক্তব্য শোনা উচিত… সাধারণ মানুষের যা কিছুই লুট করা হয়েছে… প্রত্যেকটি পয়সা ফিরিয়ে দিতে হবে, এটি মোদির নিশ্চয়তা।’
ওড়িশায় বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেডি। ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বে থাকা মোদির বিজেপি ওড়িশায় সিবিআইকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।