বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাসমান হাসপাতালে খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী’র প্রত্যন্ত এলাকায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।
জীবন খেয়া ৪০ (চল্লিশ) দিনের জন্য দেশের নদীপথে ভ্রমণ করবে এবং ২৯টি এলাকায় স্বাস্থ্যক্যাম্পের আয়োজন করবে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি স্বাস্থ্য ক্যাম্পে রোগীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মেডিকেল প্রেসক্রিপশন, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ইত্যাদি উন্নতমানের চিকিৎসা সেবার সুবিধা পাবেন। এছারা, তাদের সপ্তাহব্যাপী ওষুধ এবং পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হবে। যেসব রোগীরা স্বাস্থ্য ক্যাম্পে বা জীবন খেয়ায় চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তারা কল-সেন্টার পরিষেবার মাধ্যমে চিকিৎসা-পরবর্তী সহায়তা পাবেন।
এ প্রসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “আমাদের দেশের প্রত্যন্ত এলাকার জনগোষ্ঠীদের জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবেলায় আমাদের সহায়তার প্রয়োজন। ‘জীবন খেয়া’ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে - কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিতকরণে আমাদের আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই উদ্যোগটিকে সফল করতে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে পাশে পেয়ে আমরা আনন্দিত।”
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বলেন, “উপকূলীয় এলাকার চরাঞ্চেলের বাসিন্দাদের শহুরে স্বাস্থ্যসেবা পেতে শুধু পরিবহনের পিছেই হাজারো টাকা খরচ করতে হয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর অর্থায়নে এই ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন খেয়া’ ১০,০০০ এরও অধিক মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিবে। এই উদ্যোগটি হাজার হাজার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে আক্রান্ত দরিদ্র রোগীদের সহজ স্বাস্থ্যসেবা উপভোগ নিশ্চিত করবে”
দেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসাবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিস্থাপকতার অনুপ্রেরণামূলক গল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। ১১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ব্যাংক এই দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য, বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি প্রচারের জন্য পরিষেবা প্রসারিত করা এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করার জন্য নিবেদিত রয়েছে। অনেক বছর ধরেই স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং টেকসই উদ্যোগগুলি অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন; স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আর্থিক সাক্ষরতার অ্যাক্সেসের উন্নতি; কৃষি উদ্ভাবন সমর্থন; ইতিবাচক সামাজিক রূপান্তরের চালক হিসাবে খেলাধুলা, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির প্রচার; এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রবৃত্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সমাজসেবা বিভাগের অধীনে নিবন্ধিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন দেশব্যাপি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্যের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
অর্থসংবাদ/কাফি