গতকাল প্রকাশিত ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (এনবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিপিআই এক বছর আগে থেকে এবং অক্টোবরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
মাসিক ও বার্ষিক উভয় ভিত্তিতে এটি রয়টার্সের জরিপের তুলনায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হ্রাসের মধ্যবর্তী পূর্বাভাসের চেয়ে গভীর। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর থেকে বছরের পর বছর সিপিআই পতন সবচেয়ে তীব্র।
এসব পরিসংখ্যান সাম্প্রতিক ট্রেড এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ডাটা সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য আরো নীতি সহায়তার কথা বলা হয়েছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জু তিয়ানচেন বলেন, ‘এ পরিসংখ্যান নীতিনির্ধারকদের জন্য উদ্বেগজনক। এর পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে। এক. বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মূল্যের পতন, দুই. শীতকালীন ভ্রমণের গতি নিম্নমুখী এবং তিন. অতি দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ।’
জু তিয়ানচেন জানান, নিম্নমুখী চাপ ২০২৪ সালে বাড়তে থাকবে। ডেভেলপার এবং স্থানীয় সরকারের কাছে চাহিদা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিও ধীরগতির হবে।
এছাড়া চীনে খাদ্য ও জ্বালানির দাম ব্যতীত বার্ষিক মূল মূল্যস্ফীতি ছিল শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, যা অক্টোবরের মতোই।
এদিকে উৎপাদক পর্যায়ে পণ্যমূল্য বা প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স (পিপিআই) অক্টোবরে ২ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাসের বিপরীতে বছরে ৩ দশমিক শূন্য শতাংশ কমেছে। এটি টানা পতনের ১৪তম মাস। আগস্টের পর থেকে দ্রুততম। অর্থনীতিবিদরা যদিও নভেম্বরে ২ দশমিক ৮ শতাংশ পতনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
চীনের অর্থনীতি এ বছর একাধিক খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকারের ঋণ বৃদ্ধি, একটি রুগ্ণ আবাসন বাজার এবং দেশ-বিদেশে দুর্বল চাহিদা। চীনা ভোক্তারা ব্যয় কমিয়েছে। ফলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
মুডি’স সম্প্রতি চীনের ঋণমান কমানোর সতর্কতা জারি করেছে। সংস্থাটি জানায় যে স্থানীয় সরকার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর ব্যয় অর্থনীতিকে চাপে ফেলবে। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এ পূর্বাভাসকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারযোগ্য এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
অর্থসংবাদ/এমআই