আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সারা দেশের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পাঠান।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে যদি কোনো সময় ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত বা বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনরায় শুরু করা সম্ভব না হয়, তা হলে তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ২৫-এর বিধান অনুসারে অনতিবিলম্বে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন। এবং নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যগণকে ঘটনাবলী সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসারকেও তা অবহিত করবেন।
এছাড়া ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত কোনো স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রিজাইডিং অফিসারের হেফাজত থেকে বেআইনিভাবে ও জোরপূর্বক অপসারণ করা হলে বা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করা হলে বা হারিয়ে গেলে বা এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকৃত হলে, যে ক্ষেত্রে ওই ভোটকেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না, সেক্ষেত্রেও প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন এবং রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করবেন। রিটার্নিং অফিসার অনতিবিলম্বে ওই ঘটনা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের নিকট একটি প্রতিবেদন পেশ করবেন এবং যথাসম্ভব, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়ে নতুনভাবে ভোটগ্রহণের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হবে সেই ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ব্যতীত যদি ওই নির্বাচনী এলাকার ফলাফল বাকি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল দ্বারা নির্ধারিত না হয়, তা হলে নির্বাচন কমিশন ওই ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোটগ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করবে। রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশক্রমে ওই ভোটকেন্দ্রে/ভোটকেন্দ্রসমূহে ভোটগ্রহণের জন্য একটি দিন ও সময় ধার্য করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন।
মনে রাখবেন, এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রাধীন সকল ভোটার ভোট দিতে পারবেন এবং বন্ধ ঘোষিত নির্বাচনে ভোট গণনা করা যাবে না।