রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জিম চ্যালমার্স বলেছেন, ‘নির্মিত বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে মাশুল বৃদ্ধি, যাঁরা বাড়ি খালি ফেলে রাখেন, তাঁদের শাস্তিস্বরূপ আরও বেশি করে জরিমানা করা এবং নিয়মকানুন মান্য করার ক্ষেত্রে আরও কঠোরতা আরোপ করার মধ্য দিয়ে আমরা এটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব যে আবাসন খাতে যে বিদেশি বিনিয়োগ আসছেন, তা আমাদের জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে থাকে।’
তবে বাড়ি নির্মাণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘বিল্ড টু রেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবাম লেবার সরকার আবেদন মাশুল কমাবে বলেও রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে।
দেশজুড়ে মানুষের সাধ্যের মধ্যে বাড়ির দাম নামিয়ে আনতে অস্ট্রেলিয়া সরকার চলতি বছরের জুন মাসে ১৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার অঙ্গীকার করে। দেশটির অনেক নাগরিক বাড়ি কিনতে না পেরে অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন। তাঁরা যেন শিগগিরই বাড়ি কিনতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে সাংবাদিকদের জিম চ্যালমার্স বলেছেন, এসব পরিবর্তনের কারণে সরকারের হাতে ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের মতো রাজস্ব আসবে, যে অর্থ সরকার আবাসনের মতো অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে ব্যয় করবে।
বিবৃতিতে চ্যালমার্স বলেছেন, সরকার মানুষের নাগালের মধ্যে আবাসন নিয়ে আসতে চায়। বিদেশি বিনিয়োগ যেন সরকারের এই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে, সে লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করে এই উচ্চ মাশুল বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে গত বছর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অস্ট্রেলিয়ায় সম্পদ কেনার ক্ষেত্রে মাশুল বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়। তখন দেশটির সরকার বলেছিল, এর মধ্য দিয়ে আগামী চার বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৩০ কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় হবে।
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৬০ লাখ। কিন্তু দেশটিতে বাড়ি বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল। মূলত চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ার কারণে সেখানে বাড়ির দাম বেশি।
অর্থসংবাদ/এমআই