চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে দুই দিনে ২২৬ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। চীন ও পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) ও সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এসব পেঁয়াজ খালাসের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র। এখন আমদানিকারকরা যেকোনো পেঁয়াজ খালাস নিতে পারবেন।
উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সমুদ্র বন্দর থেকে কোনো দেশ থেকে উদ্ভিদজাত কোনো পণ্য এলে আমাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেতে আবেদন করতে হয়। আমরা রোগবালাই ও ক্ষতিকারক কিছু আছে কি না যাচাই-বাছাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকে। রোববার চীন থেকে আনা ১৬৮ টন এবং সোমবার পাকিস্তান থেকে আনা ৫৮ টন পেঁয়াজ খালাসের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নিজেদের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে পণ্যটি রপ্তানির ওপর আগামী মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড। এর আগে ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেশটি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও এর মধ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
এদিকে, ভারত থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণায় হঠাৎ করে দেশের বাজারে এতে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। এ অবস্থায় দেশজুড়ে অভিযানে নামে প্রশাসন। অভিযানে এমনও দেখা গেছে, দোকানে মূল্যতালিকায় লেখা নেই, কিন্তু গোডাউনে গিয়ে ঠিকই পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মিলেছে। পেঁয়াজের হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের শিক্ষা দিতে পচনশীল এই পণ্যটি কিছুদিনের জন্য বর্জনের ডাকও ওঠে।