বাংলাদেশ গার্মেন্ট খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি র্যাঙ্ককৃত কারখানার ৫৪টি এখন এখানে অবস্থিত। বিশ্বের শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি এখানে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই অর্জন আরও বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্ব আকর্ষণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, যা টেকসই উৎপাদনে বিশ্বনেতা হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে মজবুত করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন ২০৬টি এলইইডি গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে, যার মধ্যে ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড-রেটেড রয়েছে, যা পরিবেশগত স্টুয়ার্ডশিপের প্রতি তার অঙ্গীকারকে দৃঢ় করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র গত ছয় মাসে ১৬টি প্লাটিনাম ও ৮টি গোল্ডসহ ২৪টি নতুন কারখানার প্রত্যয়ন প্রাপ্তির এই দ্রুত বৃদ্ধি পরিবেশ-বান্ধব পোশাক উৎপাদনে দেশকে বিশ্ব নেতৃত্বের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান ভূমিকা প্রদর্শন করে।’
রুবেল বলেন, বাংলাদেশে এলইইডি-প্রত্যয়িত সবুজ কারখানার দ্রুত বৃদ্ধি পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রতি পোশাক শিল্পের অটল প্রতিশ্রুতির একটি স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষ ফল।
মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, ‘স্থায়িত্বের প্রতি এই নিবেদন কেবল প্রশংসার যোগ্যই নয়, আমাদের শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা ও সাফল্য নিশ্চিত করার জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এলইইডি হল বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম। সমস্ত ধরনের বিল্ডিংয়ের জন্য এটি ভার্চ্যুয়ালি পাওয়া যায়। এলইইডি স্বাস্থ্যকর, দক্ষ ও ব্যয়-সাশ্রয়ী সবুজ বিল্ডিংয়ের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। এলইইডি সার্টিফিকেশন টেকসই অর্জন ও নেতৃত্বের একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত প্রতীক।
অর্থসংবাদ/এমআই