১৫ দিনের ব্যবধানে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দর আরও ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ডলারের দর নির্ধারণের দায়িত্বে থাকা দুই সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন দর আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ডলারে ২৫ পয়সা কমানোর ফলে ডলারের ক্রয় দর হবে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিক্রয় দর হবে ১১০ টাকা। দেশের মুদ্রা বাজারে ডলারের স্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ায় মুদ্রাটির দাম তৃতীয় দফায় কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে ডলারের দাম আরও কমবে।
বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার অংশ হিসেবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের দর নির্ধারণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে দাম নির্ধারণ করে থাকে সংগঠন দুটি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বরাবরের মতোই মুদ্রাটির দাম বাড়িয়ে যাচ্ছিল সংগঠন দুটি। তবে গত ২২ নভেম্বর এ দুই সংগঠন দাম নির্ধারণের দায়িত্বে আসার পর প্রথমবারের মতো ৫০ পয়সা দর কমিয়েছিল। এরপর সপ্তাহের ব্যবধানে ২৯ ডিসেম্বর আরও ২৫ পয়সা কমানো হয় ডলার দর। আর তৃতীয় দফায় গতকাল কমেছে আরও ২৫ পয়সা।
কোভিড মহামারি থেকে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সময় ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাজারের দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। তখন থেকে সরবরাহ সঙ্কটে দাম বেড়ে ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়।
বাফেদা ও এবিবি দর নির্ধারণের দায়িত্বে আসার পর থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্রমাগত ডলারের দর বাড়িয়ে আসছিল। দর বাড়ানোর হার বেশি হয়ে যাচ্ছে কি না এমন সমালোচনার মধ্যে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ডলারের দর কমিয়েছে সংগঠন দুটি।