নিরাপদে পুলসিরাত পার হবেন যারা

নিরাপদে পুলসিরাত পার হবেন যারা

যারা পূর্ণ ঈমানদার, সৎকর্মশীল, কবিরা গুনাহ থেকে মুক্ত, মৃত্যুর আগে খালেস তাওবাকারী—তারা নিরাপদে আগুনের তাপ ও স্পর্শ অনুভব না করেই পুলসিরাত পার হয়ে যাবেন।


দুনিয়াতে নেক আমলে যিনি যত অগ্রগামী ছিলেন, পুলসিরাতে তার গতিও হবে অনুরূপ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আগুনের (পুলসিরাতের) ওপর দিয়ে লোকজন অতিক্রম করবে। তারা তাদের আমল অনুপাতে অতিক্রম করতে থাকবে। তাদের প্রথম দল বিদ্যুৎ চমকানোর মতো দ্রুত বেগে পার হয়ে যাবে। পরবর্তী দলটি বাতাসের বেগে, তারপর দ্রুতগামী ঘোড়ার বেগে, তারপর উষ্ট্রারোহীর বেগে, তারপর মানুষের দৌড়ের গতিতে, তারপর হেঁটে চলার গতিতে অতিক্রম করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩১৫৯)


মুসলিমদের মধ্যে যারা পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিল, তারা তাদের পাপের পরিমাণ অনুযায়ী পুলসিরাতে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুলসিরাত জাহান্নামের দুই তীরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। তাতে থাকবে সাদান বৃক্ষের কাঁটাসদৃশ কাঁটাসমূহ। মানুষকে তার ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে বলা হবে। তাদের কতক ব্যক্তি কাঁটার আঁচড় খেয়ে ক্ষতবিক্ষত হবে, তারপর নাজাত পাবে...।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১১০৮১)


এই দলের লোকদের ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম বলেন, ‘এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হবে তারাই, যারা পাপকাজ করেছে এবং বিভিন্ন ধরনের ভুল-ত্রুটি করেছে। পুলসিরাতের আঁকড়া তাদের আক্রমণ করবে, ফলে তাদের শরীর ক্ষতবিক্ষত হবে। অতঃপর তারা তাদের পার্থিব জীবনের প্রেরিত নেক আমলের কারণে আল্লাহর দয়ায় মুক্তি পেয়ে যাবে।’ (আল মাওসুআতুল আকাদিয়াহ ৫/১৪)


পুলসিরাত অতিক্রমকারীদের মাঝে বড় দলটি তাদের পাপের কারণে আটকে যাবে এবং জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুলসিরাত জাহান্নামের দুই তীরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। মানুষকে তার ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে বলা হবে।কতক ব্যক্তি সেখানে আটকে যাবে এবং মুখ থুবড়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১১০৮১)

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

যানবাহনে চলাচলের তাসবিহ ও দোয়া পড়ার নিয়ম
জুমার জন্য যে ৪ কাজ জরুরি
সৌদির নতুন গ্র্যান্ড মুফতি ড. শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ
চাঁদ দেখা গেছে, রবিউস সানি মাস শুরু বুধবার
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি
মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা কি মাকরুহ?
জুমার দিনের ১০ আমল
হজ ও ওমরাহ নিয়ে বিশাল সুখবর
জোহর-আসর নামাজের কেরাত আস্তে পড়তে হয় কেন?