গতকাল সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের যৌথ বার্ষিক সভা শুরু হয়েছে। এবার সভাটি ভার্চ্যুয়াল উপায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভার অংশ হিসেবে আজ আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করেছে। আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।
অবশ্য আইএমএফ অর্থবছর ধরে নয়, পঞ্জিকাবর্ষ ধরে অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময় ধরে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। এবার পঞ্জিকাবর্ষ ধরে হিসাবটি করলেও তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিশ্বব্যাপী করোনার মূল আঘাত ২০২০ সালে জুড়েই পড়েছে। সামনের তিন মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। ২০২৩ সালে তা ৭ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হবে। এর মানে, মোটামুটি করোনার আগের ফিরে যেতে আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এর গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে (২০২০–২১) ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থবছর শুরু হয় জুলাই মাসে, শেষ হয় জুন মাসে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। ২০২৩ সালে তা ৭ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হবে। এর মানে, মোটামুটি করোনার আগের ফিরে যেতে আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।
আইএমএফ
আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২২টি দেশে জিডিপি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে। বাকি সব দেশের জিডিপি সংকুচিত হবে, প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, জাপানের মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হবে বলে মনে করছে এই দাতা সংস্থা। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র চীনের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি মাইনাস ১০ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। এ ছাড়া সারা বিশ্বের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দাতা সংস্থাটি।