রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিডিয়া ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। রাজনীতির নামে জ্বালাও পোড়াও বন্ধ ও নাশকতা বন্ধ বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করে সংগঠনটি।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতির কিছু ছোট ছোট দল আছে। এরা আবার বিএনপির মিত্র। এরা ব্যাঙের ছাতার মতো। কিন্তু এদের আওয়াজ বড়। নির্বাচনে দাঁড়ালে এক হাজার ভোটও পায় না। এর আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন দাঁড়াল যিনি ঢাকা শহরের ৩৫ লাখ ভোটের মধ্যে দেড় হাজার ভোট পেয়েছিল। এই ব্যাঙের ছাতারাও এখন বুঝতে পেরেছে বিএনপির সাথে থেকে কোনো লাভ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি যেভাবে পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আইসিইউ ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, সেটি ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতাকেই মনে করিয়ে দেয়। সেখানে শুধু গাড়ি পুড়িয়েছে তা নয়, সেখানে নার্সদেরও অপদস্ত করা হয়েছে। আমাদের দলের নারী কর্মীরা যখন মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল তখন তাদের কাপড় ধরেও টানাটানি করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ৩২ জন সাংবাদিককে তারা পিটিয়ে আহত করেছে। একজন সাংবাদিককে মাটিতে ফেলে সাপ পেটানোর মতো যেভাবে পিটিয়েছে সেটি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। এটি কোনো রাজনীতি নয়, এটি হচ্ছে জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের এই ধরনের আগুন সন্ত্রাস, বাস ড্রাইভার-হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করা ও গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া এগুলো কোনো রাজনীতি নয়। এগুলোকে অপরাজনীতি বললেও ভুল হবে। পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে রাজনীতির নামে এমন নৃশংসতা হয়নি, যেটা বিএনপি-জামায়াত করছে।
মন্ত্রী বলেন, একটি গাড়ি বা বাস পুড়িয়ে দেওয়া মানে একটা পরিবার পুড়িয়ে দেওয়া, একটি পরিবারের স্বপ্নকে পুড়িয়ে দেওয়া। এই গাড়ি-ঘোড়ায় যারা চলাচল করে তারা সাধারণ মানুষ। তারা রাজনীতি বোঝে না বা রাজনীতি করে না। এদের ওপর যারা হামলা চালায় তারা কীসের রাজনীতি করে? এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু ও রাষ্ট্রের শত্রু। আমাদের সবাইকে এদের প্রতিহত করতে হবে। তাদের এই বর্বরতা আর চলতে দেওয়া যায় না। তাদের এই নৃশংসতা আর চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এই আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।