রাজধানীর ১৯ নম্বর হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির বাসভবন। ১৯০৮ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক এই বাসভবনে আজ রবিবার সন্ধ্যায় বর্তমান প্রধান বিচারপতির সাথে মিলিত হয়েছেন সাবেক ১০ প্রধান বিচারপতি। বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের উদ্যোগে ১১ প্রধান বিচারপতি এক ফ্রেমে ক্যামেরাবন্দী হন।
বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করা সাবেক প্রধান বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি এ টি এম আফজাল, বিচারপতি কে এম হাসান, বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, বিচারপতি মো. তফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি মোহাম্মাদ ফজলুল করিম, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বিকেল ৪টায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আসেন সাবেক প্রধান বিচারপতিরা। এরপর প্রথমেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ইতিহাস সম্বলিত বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা ফলক উন্মোচন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতিরা। তারপর ফটোসেশনের জন্য সারিবদ্ধভাবে আসন গ্রহণ করেন তারা।
ফটোসেশন শেষে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আঙিনায় উন্নত জাতের ১১টি আম গাছের চারা রোপণ করেন ১১ জন প্রধান বিচারপতি।
প্রথমে গোপাল ভোগ জাতের আমের চারা রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এরপর প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্রম অনুযায়ী গাছ রোপণ করেন সাবেক ১০ জন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান ও সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, প্রধান বিচারপতির উদ্যোগে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করা দেশের ১১ জন প্রধান বিচারপতি সমবেত হন। আমার জানা মতে এর আগে কখনো ১১ জন একত্রিত হননি।