আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিজি প্রেসের যে সরকারি তিনটা প্রেস রয়েছে, সেখানে পুরোদমে ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলছে। ব্যালট মুদ্রণের ক্ষেত্রে যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়েছে বা মামলা পেন্ডিং রয়েছে, সেগুলো আমরা পরে প্রিন্টিং করব।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ শেষ করতে চাই। সে আলোকে যেসব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই বা পেন্ডিং নেই, সেগুলো প্রথমে মুদ্রণ করা হবে।
যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে বা হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন বা বাতিল হতে পারে। সেসব এলাকার প্রার্থীদের প্রতীকসহ ব্যালট পেপার মুদ্রণ করা হলে পুনরায় মুদ্রণ করা লাগতে পারে। সুতরাং যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়েছে সেগুলো সবার শেষে মুদ্রণ করা হবে।
কতটি আসনে এরকম মামলা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চল্লিশটির বেশি নির্বাচনী এলাকায় মামলা চলমান।
কি পরিমাণ বাজেট রাখা হয়েছে বা চূড়ান্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যালট মুদ্রণ হচ্ছে সরকারি প্রেস থেকে। সুতরাং সুনির্দিষ্ট কোনো বাজেট নাই। বিজি প্রেসের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ৩৩ কোটি টাকা তাদের কাগজ ক্রয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দই এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। ভোটার সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার ছাপা হবে।
কবে থেকে ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পাঠানো হবে জানতে চাইলে ইসির এ অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো আগে কমপ্লিট হবে সেগুলো আগে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, ব্যালট পেপার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাবে। এখান থেকে যদি তিনি সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠান তাহলে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ ভোটের দিন জেলা থেকে সব উপজেলায় পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিন অনেক মালামাল পাঠাতে হয়। কেন্দ্র অনুযায়ী ব্যালট বাছাই করতে হয়, সেট করতে হয়। সেজন্য আগেই সরকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
সেক্ষেত্রে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া দায়িত্ব তো আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর। তাদেরকে আমরা নিরাপত্তা দিতে বলেছি। নিরাপত্তা সহযোগেই কিন্তু ব্যালট পেপারগুলো রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। নিরাপত্তা কমিশন স্পেসিফিক বলে দেবে না এ বাহিনী নিরাপত্তা দেবে।