গ্রাহক আস্থার প্রতি ব্যাংকের অটল প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক একটি ব্র্যান্ড ক্যাম্পেইন চালু করেছে। ‘ব্র্যাক ব্যাংকে আমানত, সম্পূর্ণ নিরাপদ’ শিরোনামের ক্যাম্পেইনটি ব্যাংকের মূল চালিকাশক্তিগুলোকেই নির্দেশ করে, যা ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের অবিচল আস্থায় গ্রাহকদের আমানতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করে।
বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ‘ব্র্যাক’ পরিবারের সদস্য ব্র্যাক ব্যাংক একটি তফসিলি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যেটি তার সূচনালগ্ন থেকেই দেশের মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। চ্যালেঞ্জিং বাজার পরিস্থিতি সত্ত্বেও ব্যাংকটি গত কয়েক বছরে ধরে ধারাবাহিকভাবে ডিপোজিট এবং লোন পোর্টফোলিও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এমনকি জটিল ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতেও ব্যাংকটির প্রধান কর্মক্ষমতা সূচকে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের অবিচল বিশ্বাস ও আস্থা।
২০২৩ সালের প্রথম নয় মাস শেষে ব্র্যাক ব্যাংক ২০২২ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় স্ট্যান্ডঅ্যালন লোন পোর্টফোলিওতে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং কাস্টমার ডিপোজিটে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা মূলত ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির কৌশল এবং অবিচল গ্রাহক আস্থার প্রতিফলন।
বছরের পর বছর ধরে ব্যাংকটি আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস), নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি), রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই), রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ), নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) এবং ক্যাপিটাল টু রিস্ক ওয়েটেড অ্যাসেট রেশিওতে (সিআরএআর) দেশের ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান গড় অবস্থার চেয়েও ভালো অবস্থা বজায় রেখেছে, যা ব্যাংকটির আর্থিক ক্ষমতা এবং টেকসইতার পরিচায়ক।
বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সর্বোচ্চ বাজার মূলধন, স্থানীয় ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী এবং আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি এসঅ্যান্ডপি ও মুডিস এবং স্থানীয় ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি- উভয় দিক থেকে দেশের সকল ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং অর্জনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ব্র্যাক ব্যাংকের উচ্চতর কর্মক্ষমতা সূচকগুলো ফুটে ওঠে। স্থানীয় ব্যাংকিং খাতে প্রায় সবকটি আর্থিক সূচকে ব্র্যাক ব্যাংক নেতৃত্বস্থানে রয়েছে এবং কর্পোরেট সুশাসন ও মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে মানদণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
ব্যাংকটি ডিজিটাল ব্যাংকিং অবকাঠামোতেও উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ করেছে, যা গ্রাহকদের আনন্দদায়ক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা প্রদানের পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এসেছে। ফলে, গ্রাহকরা এখন যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকেই দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। ব্যাংকটির ডিজিটাল সুপার অ্যাপ আস্থা, কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম কর্পনেট; এবং আরও অনেক ডিজিটাল সল্যুশনস ব্যাংকটির ডিজিটাল সক্ষমতা তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে ব্যাংকটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
১৮৭টি শাখা, ৩৬টি উপশাখা, ১০৪০টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, ৩২৯টি এটিএম এবং ৬৮টি আরসিডিএম নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বিস্তৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে।
গ্রাহক আস্থার ওপর ব্যাংকের জোর প্রদান সম্পর্কে মন্তব্য করে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, বিশ্বমানের প্রোডাক্ট ও সেবা, ধারাবাহিক আর্থিক প্রবৃদ্ধি, সুশাসন, পরিপালন, নৈতিকতা, স্বচ্ছতা এবং মূল্যবোধ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ইতিমধ্যেই দেশের ব্যাংকিং খাতে নিজের উজ্জ্বল পদচিহ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ভিশন অনুযায়ী, আমরা আমাদের ব্যবসায়িক নৈতিকতা এবং গ্রাহক আস্থা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে মার্কেট শেয়ারে ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে পেশাগত জ্ঞান-সমৃদ্ধ স্বনামধন্য বোর্ড এবং মেধাবি টিমের সমন্বয়ে ব্র্যাক ব্যাংককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।