টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়

টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়

ব্যাংকগুলো কর্পোরেট এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন বিমাপণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারবে। তবে এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হবে। একটি ব্যাংক একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি জীবনবিমা ও তিনটি সাধারণ বিমার পণ্য–সেবা বিক্রি করতে পারবে।


যেসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম, তারাই শুধু এই সেবায় যুক্ত হতে পারবে। ব্যাংকগুলোকে বিমাপণ্য বিক্রির পর গ্রাহকের বিমা দাবি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করতে হবে।


‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ চালুর ক্ষেত্রে ব্যাংকের আর্থিক সূচকের এই মানদণ্ড ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার এসব বিষয় যুক্ত করে ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স গাইডলাইনস (ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য)’ শীর্ষক নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


নীতিমালাটিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক চূড়ান্ত দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিমাকৃত ব্যক্তি ও তাঁর মনোনীত নমিনিকে যথোপযুক্ত প্রমাণাদি এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করবে।


নীতিমালায় অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে বিমা ব্যবসায়ে যুক্ত হতে হলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মূলধনের বিপরীতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের (সিআরএআর) অনুপাত হতে হবে সাড়ে ১২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ মূলধন সংরক্ষণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৪টি ব্যাংকের সিআরএআর সাড়ে ১২ শতাংশের নিচে রয়েছে।


এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছয়টি। এ ছাড়া ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া ক্রেডিট রেটিংয়ে গ্রেড-২–এর নিচে থাকা ব্যাংকও বিমা ব্যবসায় যুক্ত হতে পারবে না বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। আগ্রহী ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিংও ন্যূনতম ২ থাকতে হবে। খেলাপি ঋণের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিট খেলাপি ঋণের হার ৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে, এমন ব্যাংকের সংখ্যা ২৬। তবে নিট খেলাপি ঋণ হিসাব করলে এ সংখ্যা বাড়বে।


নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের নেটওয়ার্ক ও গ্রাহকের তথ্যাদি ব্যবহার করে বিমাপণ্য বিতরণের সুযোগ তৈরি করে বিমা খাতের ব্যাপ্তি বাড়ানোই এর উদ্দেশ্য। ব্যাংকিং ও বিমা পরিষেবার বিস্তৃতি, একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত আর্থিক কাঠামোর আওতায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিস্তার, বিমার আওতায় ভোক্তার নিরাপত্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্বের অগ্রগতি সাধনে সহায়তা ও ব্যাংকাস্যুরেন্সের জন্য ওয়ান–স্টপ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়াই এর লক্ষ্য।


ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করতে আগ্রহী ব্যাংককে পরপর তিন বছর মুনাফায় থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছে নীতিমালায়। এতে বলা হয়, অনুমোদন পাওয়ার পর স্বতন্ত্র ব্যাংকাস্যুরেন্স ইউনিট বা উইং প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংক বিমাকারীর বিমাসংক্রান্ত কোনো ঝুঁকি গ্রহণ করবে না বা বিমাকারী হিসেবে কাজ করবে না মর্মে স্পষ্টভাবে ঘোষণা প্রদান করবে।


নীতিমালার শর্তে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংক কোনো গ্রাহককে বিমাপণ্য গ্রহণে বাধ্য করতে পারবে না। এ ছাড়া কোনো গ্রাহককে বিমাপণ্য ক্রয়ে উৎসাহিত করার জন্য বিমা কোম্পানি ঘোষিত মূল্য ব্যতিরেকে অন্য কোনো প্রণোদনা (অতিরিক্ত ছাড়/নগদফেরত অথবা কোনো প্রকার ফি বা সুদ মওকুফ) দেওয়া যাবে না।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়