আগামীর অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে ই-বর্জ্য

আগামীর অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে ই-বর্জ্য

ই-বর্জ্য বা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য আধুনিক যুগে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশের সার্কুলার অর্থনীতিতে ই-বর্জ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর পুনর্ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দেশে একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, ই-বর্জ্য উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের স্বদিচ্ছা থাকলে আগামীতে এ ক্ষেত্রটি অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।


শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আদাবরে ডিএসকে সেন্টারে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এর সম্ভাবনা নিয়ে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।


বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভয়েসের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘টেকসই পরিবেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল যন্ত্রপাতির সার্কুলার ব্যবহার’ শীর্ষক এ সভায় অংশ নেন নীতিনির্ধারক, বেসরকারি খাতের কোম্পানি, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।


আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক অগ্রগতির সাথে সাথে প্রতি বছর দেশে ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে ই-বর্জ্য। এর ফলে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় মানুষের জীবনে ই-বর্জ্যের প্রভাব, এ ধরনের বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার ও সঠিক ব্যবস্থাপনাসহ সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের ওপর জোর দিতে হবে।


একইসঙ্গে ই-বর্জ্যের ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবিলা এবং এর যথাযথ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারাভিযান এবং বাস্তবসম্মত আইনি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।


সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এটিএম মাহবুব-উল-করিম বলেন, ই-বর্জ্যের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের বেশ কয়েকটি নীতি রয়েছে। বেশ কয়েকটি নীতির কথা উল্লেখ করে তা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।


একইসঙ্গে এ সমস্যা নিরসনে সবার সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।


ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ই-বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় বিশেষত নারী ও শিশুরা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এ অবস্থায় নীতিনির্ধারকদের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণে উৎযোগী হতে হবে।


ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান আজিজু রিসাইক্লিংয়ের প্রতিনিধি গাজী মো. গোলাম সাদেক বলেন, সঠিক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আরও উদ্যোগ নেওয়া হলে শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।


অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের কনসালটেন্ট তড়িৎ কান্তি বিশ্বাস। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান, আজিজু রিসাইক্লিং অ্যান্ড ই-ওয়েস্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি গাজী মো. গোলাম সাদেক ও অশোক লেল্যান্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসিফ হোসেনসহ অনেকে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু