খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ সোমবার। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এছাড়া বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোক সজ্জার। হোটেলের ভেতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ।
বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। অপরদিকে দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন।
এদিকে বড়দিনকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। খ্রিষ্ট ধর্মানুসারে যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সব শ্রেণিপেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ২৫ ডিসেম্বর ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। কারণ এদিন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য জন্ম নিয়েছিলেন যিশুখ্রিষ্ট।