তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের এই সংগঠন বলছে, আমরা মনে করি, বর্তমানে বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তৈরি পোশাকশিল্পে একটি সুষ্ঠু উৎপাদন পরিবেশ বজায় থাকা দরকার, যা প্রকারান্তরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ অবস্থায় দেশ ও অর্থনীতির স্বার্থে তৈরি পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করতে অনুরোধ করছি।
বিজিএমইএ আরও বলেছে, গত অক্টোবর-নভেম্বরে ন্যূনতম মজুরি আলোচনাকে কেন্দ্র করে কিছু এলাকায় শ্রমিক ধর্মঘট হয়েছিল। তখন কারখানা কর্তৃপক্ষ “কাজ নেই, মজুরি নেই” ভিত্তিতে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় এবং আমাদের শ্রমিকদের কল্যাণে বিজিএমইএর অনুরোধে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পূর্ণ মজুরি পরিশোধ করে। এত কিছুর পর শিল্প যখন স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে, তখন ধর্মঘটের নামে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।
পোশাকশ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণসহ সাত দফা দাবি আদায়ে তৈরি পোশাকশিল্পে ১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের শ্রমিক ধর্মঘটের আহ্বান করেছিল সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ (এসএসপি)। যদিও আজ সকালেই এসএসপি সংবাদ সম্মেলনে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রমিক ভাই–বোনেরা সার্বিক বিষয়ে অবগত রয়েছেন, তাঁরা তাঁদের জীবিকার প্রধান উৎসটি কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেবেন না। আমি আমাদের প্রত্যেক শ্রমিক ভাই-বোনকে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা কোনো ধরনের প্ররোচনা ও অপচেষ্টায় নিজেদের সম্পৃক্ত করবেন না।
এমআই