ওই কর্মকর্তার নাম শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল। তিনি নগরীর সাগরপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ পদে তিনি দায়িত্বে ছিলেন।
গত ২৪ জানুয়ারি রাত ১২টার পরে এঘটনায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার সেলিম রেজা খান বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ সোমবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল জানিয়েছেন, ব্যাংকটিতে সব সময় প্রায় ১৫ কোটি টাকা থাকতো। গত দুই বছর ধরে তিনি টাকাগুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকেন। এই টাকায় তিনি আইপিএলের বিভিন্ন খেলায় অনলাইনে বাজি ধরতেন। এতে কখনো কখনো জিতলেও প্রায়ই হারতেন। এভাবেই টাকাগুলো তিনি বাজিতে হেরেছেন।
পুলিশ জানায়, টাকা রাখার ভল্টের সামনের লাইন ঠিক রেখে পেছনের লাইন থেকে তিনি টাকাগুলো সরাতেন। এতে করে ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার সন্দেহ হতো না। গত বৃহস্পতিবার সমস্ত টাকা গণনার পর ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম পাওয়া যায়। এসময় তিনি টাকা সরানোর কথা স্বীকার করেন। পরে গভীর রাতে তাকে থানায় নেওয়া হয়। তখনো টাকা ফেরত না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, শামসুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে টাকা নিয়ে অনলাইনে আইপিএলে জুয়া খেলে হেরেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। পুলিশ রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।