পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল জানায়, আড়ংয়ে কর্মরত থাকার সময় সে নারী কর্মচারীদের পোশাক বদলানোর কামরা সংলগ্ন সানশেডে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোন ও সেলফি স্টিক দিয়ে পোশাক পরিবর্তনের দৃশ্য ভিডিও করত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আড়ংয়ের এক নারী কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ জানুয়ারি সিরাজুলকে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার মণিপুরিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারী অভিযোগ করেন, একটি ফেক আইডি থেকে মেসেঞ্জারে তার পোশাক পরিবর্তনের ছবি ও ভিডিও তুলে পাঠানো হয়েছে এবং ভিডিও চ্যাট না করলে আরও ভিডিও প্রকাশ করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। তিনি সন্দেহভাজন একজনের নামও বলেন। সেই অনুযায়ী পুলিশ প্রথমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে তার মোবাইল থেকে আরও ১১ জন নারীর ৩৬টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়।
সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, সিরাজুলের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮-এর ১, ৮-এর ২ ও ৮-এর ৩ ধারায় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩৪ ও ৩৫ ধারায় মামলা হয়েছে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার কমপক্ষে ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে এক সহকর্মীর ব্যক্তিগত ভিডিও আপলোড করার দায়ে আড়ং কর্তৃপক্ষ সিরাজুলকে চাকরিচ্যুত করে।