কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, গত এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত আগস্টে যা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এই হার গত জুলাইয়ে ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
এখন মূলত প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ হচ্ছে। কারণ, এর সুদ কম। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এর বাইরে অন্য ঋণের চাহিদা তৈরি হবে না। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, এর ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী ঋণের চাহিদা। যাঁদের ঋণ অনুমোদন হয়েছে, তাঁদের সবাই এখনই টাকা নিতে চাইছেন না।
ব্যাংকগুলোর ওপর এই ঋণ বিতরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ চাপ রয়েছে। আবার সুদ কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও এসব ঋণের পেছনে ঘুরছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে বেসরকারি খাতের ঋণ ছিল ১০ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। গত আগস্ট শেষে যা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে ঋণ বেড়েছে ৪৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে বেসরকারি খাতের ঋণ ছিল ১০ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। গত আগস্ট শেষে যা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে ঋণ বেড়েছে ৪৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। বিষয়টা এমন নয়, ঠিক এই পরিমাণ টাকা ঋণ বিতরণ হয়েছে। এর মধ্যে আদায় হয়ে ঋণ কমে গেছে, আবার সুদ যুক্ত হয়েও বেড়েছে।
করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় সরকার প্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। গত এপ্রিলে এই ঋণ কর্মসূচি চালু হয়।
ব্যাংকগুলো সরকারের ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের প্রায় ৫৪ শতাংশ বা ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। এই প্যাকেজের আওতায় বড়দের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাংকগুলো বেশ সক্রিয় থাকলেও ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) এবং প্রাক্-জাহাজীকরণ পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচি খাতে ঋণ বিতরণে তারা এখনো পিছুটানে রয়েছে।